ট্রাম্পের ওপর স্নাইপার হামলা: নির্বাচনী সমাবেশে নিহত ২
ট্রাম্পের ওপর স্নাইপার হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প স্নাইপার হামলার শিকার হয়েছেন। সৌভাগ্যক্রমে, ট্রাম্প অল্পের জন্য বেঁচে যান। তবে, সমাবেশে উপস্থিত এক সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান এবং ট্রাম্পের ডান গাল ও কান থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। সিক্রেট সার্ভিস অ্যাসল্ট টিমের হাতে হামলাকারী স্নাইপারও নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। সিএনএন, নিউইয়র্ক পোস্ট, বিবিসি, এবং রয়টার্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে ঘটনার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং বেশ কয়েকটি ফুটেজও পাওয়া গেছে।
সিক্রেট সার্ভিসের তৎপরতা
সিক্রেট সার্ভিস টিম জানিয়েছে, ট্রাম্প নিরাপদ আছেন। প্রচারণার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং তিনি সুস্থ আছেন। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরে বাটলারে আয়োজিত ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে অন্তত ৯টি গুলির শব্দ শোনা গেছে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা তাকে ঘিরে রেখে দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শী এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও অনুসারে, সমাবেশের বাইরে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে একজন স্নাইপার ট্রাম্পকে টার্গেট করেছিলেন। একজন ট্রাম্প সমর্থক বিবিসিকে জানিয়েছেন, সমাবেশের নিরাপত্তা ঘেরের বাইরে একটি ভবনের ছাদে রাইফেল সজ্জিত একজন স্নাইপারকে দেখেছেন তিনি। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া এক ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে, বন্দুকধারী একটি গুদামের ছাদে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।
তদন্ত ও প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পর সিক্রেট সার্ভিসের একজন মুখপাত্র এক এক্স পোস্টে বলেন, ‘সিক্রেট সার্ভিস প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন নিরাপদে আছেন। সিক্রেট সার্ভিস এ ঘটনার তদন্ত করবে এবং আরও তথ্য পাওয়া গেলে প্রকাশ করা হবে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এক্সে তার বাবার আহত মুষ্টিবদ্ধ একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমেরিকাকে রক্ষার লড়াইয়ে তিনি কখনো থামবেন না।’
এই চাঞ্চল্যকর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
No comments: