Banner

নরসিংদীতে পাঁচ তরুণের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু: অজানা রহস্য

 নরসিংদীর রায়পুরায় এক সাথে পাঁচজন ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন। এই পাঁচজনের কারও পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি, যে কারণে তাদের বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

নরসিংদীর রায়পুরায় এক সাথে পাঁচজন ট্রেনে কাটা পড়ে

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দার রেলগেইট এলাকায়। সেখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচর কমলপুর এলাকায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, নিহতদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। লাশগুলোর সাথে কোনও মোবাইল ফোন, পরিচয়পত্র বা শনাক্ত করার মতো কোনও ক্লু পাওয়া যায়নি।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সিআইডি ও পিবিআই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে চেষ্টা করলেও তাতে কোনও সফলতা আসেনি। পুলিশের উপপরিদর্শক মো. শহিদুল্লাহ জানান, দুর্গন্ধের কারণে বাধ্য হয়েই লাশগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করতে হয়েছে।

এই ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এটি কি শুধুই দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।

স্থানীয় লোকজন ও রেল কর্তৃপক্ষও এই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারছেন না। পুলিশের ধারণা, ভোরে চট্টগ্রাম থেকে তূর্ণা নিশীতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা যাওয়ার পথে পাঁচ যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কাটা পড়ে মারা যান। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায় ট্রেনটির ছাদে কয়েকজন যাত্রী ছিল।

তবে প্রশ্ন উঠছে, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়লে সবার লাশ একই জায়গায় থাকার কথা নয়। আবার কেউ যদি হত্যার পর লাশ রেললাইনে ফেলে রেখে যায়, তাও সম্ভব হতে পারে। একই জায়গায় পাঁচটি লাশ পাওয়া নিয়ে পুলিশের পিবিআই কর্মকর্তাও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও ডিবি পুলিশ সবাই এই ঘটনা নিয়ে আলাদা আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে। পাঁচজন একসাথে একই জায়গায় মারা যাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক হতে পারে না বলে মনে করছে রেলওয়ে পুলিশ। তারা ধারণা করছে, হয়তো তারা নেশা করেছিল বা লাইনের ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিহতদের মধ্যে একজনের বয়স ১৮, দুই জনের ১৯, একজনের ২২ এবং অপরজনের বয়স ২৫ বছর হতে পারে। তারা সবাই কিশোর কিংবা তরুণ। কেন তারা একই সাথে একই জায়গায় মারা গেছে, সেটি মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চলছে।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.