হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় আবার হাসপাতালে খালেদা জিয়াBegom Khaleda Zia
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাসায় ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার ভোররাতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোর ৪টা ২০ মিনিটে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সপ্তাহখানেক আগেই ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ২ জুলাই খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেছিলেন। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার কারণে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁর লিভারে অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গত রাতে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভোরের দিকে ওনার যে পরিস্থিতি ছিল, তার চেয়ে উন্নতি হচ্ছে। আরও কিছুটা সময় যাওয়া ছাড়া এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে ২১ জুন রাত তিনটার দিকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ জুন হাসপাতালে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। পুনরায় হৃদ্যন্ত্রের জটিলতায় ভুগলে তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং সিসিইউ সুবিধা-সংবলিত কেবিনে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
গতকাল দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। ফিরে এসে মির্জা ফখরুল গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনেক অসুখ আছে, যা আমরা বারবার জাতির কাছে তুলে ধরেছি; কিন্তু সরকার কোনো কেয়ার করেনি। ওনার জীবন হুমকির মুখে। এটা তারা ইচ্ছাকৃত করছে বলে আমরা মনে করি। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আটকে রেখে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
সরকার কোনোভাবেই খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে চায় না বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাঁরা এমন এমন কথা বলেন যে তাঁর সঠিক চিকিৎসা কোনোমতেই হচ্ছে না। বাইরে থেকে যাঁরা চিকিৎসা করতে এসেছিলেন, তাঁরা পর্যন্ত বলেছেন দেশের বাইরে কোনো উন্নত মেডিকেল সেন্টারে তাঁর সার্জারি দরকার। অতি দ্রুত তাঁকে মুক্তি দিলে আমরা তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা দেখতে পারি।’
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
সুত্রঃ বিভিন্ন গণমাধ্যম
No comments: