### ইন্টারনেটে ধীরগতি: কী বলছে বিটিআরসি?
#### ইন্টারনেট সেবার অবস্থা:
দীর্ঘ ১০ দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে পুনরায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও গ্রাহকরা ধীরগতির সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু হলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ সোমবার দুপুর থেকে ধীরগতিতে চলছে। এতে গ্রাহকদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, যা নিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে হতাশা।
#### বিটিআরসির বক্তব্য:
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতির প্রধান কারণ হচ্ছে গুগলের ক্যাশ সার্ভিস পুনরায় চালু হওয়ার পর সার্ভার আপডেটের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথের চাপ। ফলে প্রধান আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ধীরগতি পাচ্ছে।
#### সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবস্থা:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি এখনো বন্ধ আছে। তবে অনেক ব্যবহারকারী ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করে এসব মাধ্যমে সক্রিয় থাকছেন। এতে করে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে, যা ইন্টারনেটের ধীরগতির আরও একটি কারণ।
#### সমস্যা সমাধানে বিটিআরসির পদক্ষেপ:
বিটিআরসি জানিয়েছে, এই ধীরগতি সমস্যার সমাধান শিগগিরই হয়ে যাবে। সাধারণত এই ধরণের সমস্যার সমাধান হতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তবে, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো কিছু সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
#### ইন্টারনেট সেবা বন্ধের কারণ:
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে মোবাইল ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এতে সব অপারেটরের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ২৩ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় শুরু করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসা-বাড়িতে ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করা হয়।
### সার্বিক পরিস্থিতি:
ইন্টারনেট সেবার ধীরগতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গ্রাহকরা এখনো অসন্তুষ্ট। তবে বিটিআরসি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ইন্টারনেট গতি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যে দ্রুতই এই সমস্যা সমাধান হবে এবং স্বাভাবিক ইন্টারনেট সেবা ফিরে আসবে।
No comments: