Banner

**"আ. লীগের জরিপ: ৯০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অপসারণ সমর্থন করছেন"**

 **আ. লীগের জরিপ: ৯০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অপসারণ সমর্থন করেন**



বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারি আদেশে অপসারণের সিদ্ধান্তকে জনগণ সমর্থন করছে কিনা তা জানতে আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি জনমত জরিপ চালিয়েছে। 


এই জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, মন্তব্য করা প্রায় ৯০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী অপসারণকে সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, অপসারিত জনপ্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ছিলেন না এবং জালিয়াতির নির্বাচনে পদে বসেছিলেন।


**জরিপের বিবরণ:**

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগের দলীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘জনমত জরিপ’ শিরোনামে একটি প্রশ্ন রাখা হয়: "দেশের সব উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ কি আপনি সমর্থন করেন?" রাত সাড়ে দশটায় দেখা যায়, ২৬ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী এ জরিপে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ হাজার ব্যবহারকারী ‘হা হা’ ইমোজি দিয়েছেন, ৯ হাজার ৭০০ লাইক দিয়েছেন, ২ হাজার ৬০০ ‘দুঃখ’ ইমোজি দিয়েছেন, ২৬৭ জন ‘ভালোবাসা’ ইমোজি দিয়েছেন, এবং ৯৬ জন ‘রাগ’ দেখিয়েছেন।


**অপসারণের প্রসঙ্গ:**

সম্প্রতি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছে। এর পরপরই সরকার ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে। একই ধারায় ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্য, ৪৯৩ উপজেলার চেয়ারম্যান এবং ৩৩৪ পৌর মেয়রকেও অপসারণ করা হয়। 


অপসারিত অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিংবা সমর্থনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর, এসব জনপ্রতিনিধির অনেকেই পালিয়ে গেছেন।


**ফেসবুক মন্তব্যের সারমর্ম:**

রাত সাড়ে ২১ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী আওয়ামী লীগের জনমত জরিপ সংক্রান্ত পোস্টে মন্তব্য করেছেন। প্রথম ১০০ কমেন্টের মধ্যে ৯ জন জনপ্রতিনিধিদের অপসারণকে সমর্থন করেননি। 

- **মোহাম্মদ ইলিয়াস** মন্তব্য করেছেন, “জ্বি অবশ্যই করি স্যার। তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, আমরা সেবা পাচ্ছি না।”

- **মনিরুল ইসলাম** বলেছেন, “১০০ ভাগ সমর্থন করি। এই গুলো (অপসারিত জনপ্রতিনিধি) জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় নাই।”

- **রফিকুল ইসলাম** মন্তব্য করেছেন, “ওরা জনগণের প্রতিনিধি ছিল না। ওরা ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি। তাই ওদের অপসারণের পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

- **আনোয়ারুল ইসলাম আনার** লিখেছেন, “অবশ্যই শতভাগ সমর্থন করি। জনগণ তো তাদের নির্বাচিতই করেনি, তো জনপ্রতিনিধি হলো কেমনে?”


অন্যদিকে, **প্রীতম নন্দী** এবং **জসিম উদ্দিন** মতামত দিয়েছেন যে তারা অপসারণকে সমর্থন করেন না, কারণ তাদের মতে সবাই খারাপ নয়।


**মন্তব্য:**

এ জরিপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.