হাসানুল হক ইনু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি এবং সাবেক মন্ত্রী, ২৬ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ছবিঃ সংগৃহীত |
এই গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে, যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে নানা ধরনের মামলা দায়ের হচ্ছে। হাসানুল হক ইনু ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাসদের সভাপতি, এবং ১৪ দলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তার নামও এসেছে।
আগামী ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যা মামলা দায়ের হচ্ছে। এর মধ্যে হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে হওয়া একাধিক মামলাও আলোচনায় রয়েছে। এর আগে, ২২ আগস্ট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনা থেকে ধারণা করা হচ্ছিল যে, হাসানুল হক ইনুও গ্রেফতার হতে পারেন।
সরকার পতনের পর, আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন। অনেক নেতাও আত্মগোপনে চলে গেছেন কিংবা বিদেশে চলে গেছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।
জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে হাসানুল হক ইনু সহ অন্যান্যরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে আন্দোলন দমানোর পরামর্শ দেন এবং জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে নিষিদ্ধের প্রস্তাবে সায় দেন।
No comments: