Banner

**ভারতে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ: দ্বিতীয় দিনের মতো ইন্টারনেট বন্ধ**

 ভারতে সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে, এবং এই বিক্ষোভ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দিনের মতো ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ রেখেছে। বিশেষ করে কলকাতায় এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভের জের ধরে নতুন করে মুম্বাইয়ের কাছের বলদাপুর শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

ছবিঃ সংগৃহীত

এই বিক্ষোভের কারণ হলো, বলদাপুর শহরে চার বছর বয়সী দুই শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ। ২১ আগস্ট শহরজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়, যার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সব স্কুল ও ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এই বিক্ষোভকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার আদালতে হতে পারে।


**বিক্ষোভের পটভূমি:**

- বলদাপুর শহরের সামনের সারির একটি প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে চার বছর বয়সী দুই শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করা হয়। অভিযুক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী অক্ষয় সিন্ধে নামের এক ব্যক্তি, যিনি গত ১ আগস্ট চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন।

- ১২ ও ১৩ আগস্ট এই ঘটনা ঘটে এবং তা সামনে আসে, যখন এক শিশুর অভিভাবক তার কাছে পুরো ঘটনা জানতে পারেন। ১৬ আগস্ট রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়, যার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ ও তিনজন স্টাফকে বরখাস্ত করেছে।


**বিক্ষোভ ও সহিংসতা:**

- বিক্ষোভকারীরা এই ঘটনার পর ন্যায়বিচারের দাবিতে বলদাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। সহিংসতার মধ্যে বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করলে ১৭ জন পুলিশ এবং আটজন রেল পুলিশ আহত হন। পুলিশ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

- শহরে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


**রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:**

- ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য মহারাষ্ট্রে এ বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই রাজ্যে বিরোধী জোটের কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে রয়েছে।

- বিরোধী দলগুলো ২৪ আগস্ট রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভে কংগ্রেসের লোকসভার সদস্য বর্ষা গায়কোয়াড় এ ঘোষণা দেন।


এই পরিস্থিতি আরও উত্তেজনা ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.