**হামাসের ‘প্রতিশোধ’ অভিযান শুরু: ইসরাইলের ওপর ‘সরাসরি হামলা’-এর নির্দেশ খামেনির**
ছবিঃ সংগৃহীত |
**গাজায় হামাসের প্রতিশোধ:**
গাজায় হামাস এবং তার সহযোগীরা ইরানে তাদের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ওপর ‘প্রতিশোধ’ হামলার প্রথম পর্যায় শুরু করেছে। হামাস দাবি করেছে যে, ৩১ জুলাই তারা ইসরাইলি সৈন্যদের ওপর ৭টি পাল্টা আক্রমণ পরিচালনা করে ৫টি মেরকাভা ট্যাঙ্ক এবং ২টি ডি৯ বুলডোজার ধ্বংস করেছে।
আল-কাসাম এবং আল-কুদস ব্রিগেডের মতে, বেশিরভাগ হামলা রাফাহ এবং খান ইউনিস অঞ্চলে হয়েছে। তারা ইসরাইলি সেনাদের ওপর এসকে-৮ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলারও দাবি করেছে। ইসমাইল হানিয়াহর হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে হামাস এ হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়। বুধবার তার হত্যার কিছুক্ষণের মধ্যেই হামাসের সিনিয়র নেতা মুসা আবু মারজুক এই ঘোষণা দেন।
**ইরানের ‘সরাসরি হামলা’-এর নির্দেশ:**
এদিকে, ইরান ইসরাইলের ওপর ‘সরাসরি হামলা’-এর নির্দেশ দিয়েছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পিছনে ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা ‘মোসাদ’ বাহিনীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। যদিও ইসরাইল এখনও পর্যন্ত হত্যার দায় স্বীকার করেনি। নিউইয়র্ক টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, হানিয়ার মৃত্যুর খবর প্রকাশ পেতেই ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল জরুরি বৈঠকে বসেছিল। বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, হানিয়া নিহত হওয়ার পর আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বার্তায় প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “ইরানের সীমানার মধ্যে ঘটা এমন তিক্ত ও দুঃখজনক ঘটনার পর প্রতিশোধ নেয়াটা আমাদের কর্তব্য।”
**ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া:**
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান, “পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই ইসরাইলকে আক্রমণের চেষ্টা হোক না কেন, কড়ায় গণ্ডায় তার মূল্য চোকাতে হবে।” এর আগে গত এপ্রিলে ইসরাইলের ওপর ইরান একটি বড় ধরণের হামলা চালিয়েছিল, যেখানে ইরানের ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
এই ঘটনাগুলির ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, এবং চলমান উত্তেজনা ও সংঘাতের পরিণতি নিয়ে আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
No comments: