বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। এই উদ্যোগটি তিনি ২১ আগস্ট (বুধবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তুলে ধরেন। ওই বৈঠকে ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
![]() |
ছবিঃ সংগৃহীত |
**বৈঠকের আলোচনা:**
বৈঠকের সময় ড. ইউনূস বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছে। এই অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ হয়েছে, যার মাধ্যমে অনেক ব্যক্তি সেখানে বড় বাড়িঘর কিনেছেন এবং অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহ করেছেন। ড. ইউনূস মনে করেন, এই পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা হলে দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে তা ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
**প্রেস ব্রিফিং:**
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, সরকার বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে। এ কারণে ড. ইউনূস ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চান, যাতে এই অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা যায় এবং তা দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো যায়।
**অন্য সাক্ষাৎকার:**
উল্লেখ্য, একই দিনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্য এবং জাপানের সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ড. ইউনূসের এই পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য লাভজনক হতে পারে।
No comments: