Banner

"নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে: ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার"

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে এক নতুন মোড় এসেছে যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। এই সরকারটির মূল উদ্দেশ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর করা।

ছবিঃ সংগৃহীত


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন

প্রধান উপদেষ্টা:

  • ড. মুহাম্মদ ইউনূস: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

সরকারের সদস্য তালিকা:

সদস্যের নামপদবীপেশা / ব্যাকগ্রাউন্ড
ড. আতিউর রহমানঅর্থ উপদেষ্টাসাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
ড. কামাল হোসেনআইন উপদেষ্টাবিশিষ্ট আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ
ড. রেহমান সোবহানপরিকল্পনা উপদেষ্টাঅর্থনীতিবিদ
সেলিনা হোসেনশিক্ষা উপদেষ্টালেখিকা এবং শিক্ষাবিদ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আব্দুল্লাহ খানপ্রতিরক্ষা উপদেষ্টাসাবেক সামরিক কর্মকর্তা
আসিফ নজরুলতথ্য উপদেষ্টারাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং লেখক
ড. আহমদ কায়কাউসবিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাসাবেক সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ
ফাহমিদা খাতুনকৃষি উপদেষ্টাগবেষক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ
নূরুল ইসলাম নাহিদশিল্প উপদেষ্টাসাবেক মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়
ড. ফেরদৌস কাদেরস্বাস্থ্য উপদেষ্টাজনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
শওকত হোসেন মাসুদপরিবহন ও যোগাযোগ উপদেষ্টাপরিবহন বিশেষজ্ঞ
ফজলে হাসান আবেদসামাজিক কল্যাণ উপদেষ্টাপ্রতিষ্ঠাতা, ব্র্যাক
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীনারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টারাজনীতিবিদ এবং নারী অধিকার কর্মী
ড. এনাজা রহমানশ্রম উপদেষ্টাঅর্থনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী
মুশফিকুর রহমানবাণিজ্য উপদেষ্টাসাবেক সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদপরিবেশ উপদেষ্টাপরিবেশ বিশেষজ্ঞ
মেরিনা রহমানসাংস্কৃতিক উপদেষ্টাসাংস্কৃতিক কর্মী

সরকারের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা

এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো:

  1. নিরপেক্ষ নির্বাচন: একটি অবাধ, সুষ্ঠু, এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যেখানে জনগণের মতামত প্রাধান্য পাবে।

  2. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

  3. অর্থনৈতিক উন্নয়ন: অর্থনৈতিক খাতের সুষম উন্নয়ন এবং জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা।

  4. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন: শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করা।

  5. সামাজিক ন্যায়বিচার: সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ

এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন পাওয়া, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা। তবে, এটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকার দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেষ কথা

এই ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে উঠে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জনগণের অংশগ্রহণ ও সমর্থন এই সরকারের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি হবে। 

No comments:

Banner

Powered by Blogger.