** স্যালুট রাষ্ট্রের প্রকৃত অভিভাবক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে
![]() |
ছবিঃ সংগৃহীত |
যেকোনো রাষ্ট্রের ইমেজ ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রধানত সেই রাষ্ট্রের অভিভাবক বা নেতার ওপর নির্ভর করে। ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা, এবং গ্রহণযোগ্যতা—এই গুণগুলিই একটি রাষ্ট্রের মর্যাদা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত প্রায় দেড় দশক ধরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি ইমেজ সংকটের সম্মুখীন ছিল। তবে ৫ আগস্ট এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে এ সংকট কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
### ঐতিহাসিক বিপ্লব ও ড. ইউনূসের অভিভাবকত্ব
এই বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এর পরপরই নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের নতুন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের ইমেজ সংকট থেকে মুক্তি পায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুনরায় মর্যাদা অর্জন করে। জাতি হিসেবে আমরা সৌভাগ্যবান যে, ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব দেশের শাসনভার গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছেন।
### সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘটনায় ড. ইউনূসের দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশপ্রেমের টানে হাজার হাজার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। এ কারণে ৫৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেয় আমিরাত সরকার। বিষয়টি ছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
এই পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস এক অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি সরাসরি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ফোন করেন এবং তার অনুরোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমিরাত সরকার ৫৭ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দেয়। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল কূটনৈতিক সাফল্য, যা ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার কারণে সম্ভব হয়েছে।
### ড. ইউনূস: বাংলাদেশের প্রকৃত অভিভাবক
সরকার আসে, সরকার যায়; কিন্তু একজন প্রকৃত অভিভাবক পাওয়া রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত দুরূহ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনার ভারতে পালানোর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন অভিভাবককে সরকারপ্রধান হিসেবে পেয়ে বাংলাদেশের জনগণ নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। ড. ইউনূসের জনপ্রিয়তা ও মর্যাদা বাংলাদেশের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে গর্বের বিষয়।
### বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ও কূটনীতি এখন আর শুধু একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল নয়। ড. ইউনূস বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন।
**স্যালুট, বাংলাদেশের এই প্রকৃত অভিভাবক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।**
No comments: