Banner

"ড. ইউনূস ও বাইডেনের বৈঠক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত"

"ড. ইউনূস ও বাইডেনের বৈঠক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত"

ছবিঃ সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে। এই বৈঠকটি বাংলাদেশের জন্য এক বিরল এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 


গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ড. ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই তিনি জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান করেন এবং এ অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ড. ইউনূস বৈঠকে বাংলাদেশ পুনর্গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা এবং সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে বাইডেনকে অবহিত করেন। বাইডেন বাংলাদেশের পাশে থাকার এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। 


বৈঠকের সময়, ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে উপহার হিসেবে "দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ" শীর্ষক একটি আর্টবুক দেন, যেখানে ছাত্র-জনতার আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবি স্থান পেয়েছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে মার্কিন সহায়তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারেও দুই নেতা আলোচনা করেন। 


কূটনৈতিক মহল এবং পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বৈঠক মার্কিন প্রশাসনের বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিচ্ছে এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে। 


ড. ইউনূসের এ বৈঠক ছাড়াও, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার মতো নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এই বৈঠকগুলো বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের গ্রহণযোগ্যতা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দরজা খুলে দেবে। 


ড. ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ভাষণ দেবেন, যা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Post Comments

No comments:

Powered by Blogger.