বৈঠক শেষে বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, আজ রাতেই সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এবং শিল্প পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু হবে। প্রয়োজনে র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভবিষ্যতে এই অভিযানে অংশ নেবে। তার মতে, পোশাক কারখানাগুলোর পরিবেশ শান্ত রাখতে হবে যাতে কোনো ধরনের শ্রম অসন্তোষ না সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, যারা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, তারা প্রকৃতপক্ষে পোশাক শ্রমিক নন। প্রশাসন প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে আগামীকাল (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে সকল কারখানা খোলা রাখতে মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
গাজীপুরসহ শিল্পাঞ্চলে বর্তমানে অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলছে, এবং শ্রমিকদের উপস্থিতিও প্রায় শতভাগ। সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে কিছুদিন উৎপাদন বিঘ্নিত হলেও, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে। মালিকরা শুরুতে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় কারখানা চালু রাখার উদ্যোগ নেন, তবে সামগ্রিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা বাড়ানো হয়েছে।
কারখানার মালিকদের মতে, গাজীপুরসহ অন্যান্য শিল্প এলাকায় শতভাগ কারখানা এখন চালু রয়েছে, এবং শ্রমিকদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
No comments: