**সাভারের আশুলিয়ায় ভ্যানে লাশ তোলার ঘটনায় পুলিশ সদস্যের পরিচয় ও বিস্তারিত:**
ছবিঃ সংগৃহীত |
1. **পুলিশ সদস্যের পরিচয়:**
- ভিডিওতে দেখা পুলিশ সদস্যের নাম **আরাফাত হোসেন**। তিনি ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
- আরাফাতের বাড়ি বরিশালে এবং তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন।
- তার বাবা মো. আরিফ হোসেন, বদরটুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
2. **আরাফাতের অজ্ঞাত স্থান:**
- ভ্যানে লাশ তোলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আরাফাত গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
- আরাফাতের সাথে থাকা পুলিশের অন্য সদস্যদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
3. **ভিডিওর বিবরণ:**
- ৩০ আগস্ট ভিডিওটি ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, আশুলিয়া থানার সামনের সড়কে দুজন পুলিশ সদস্য একজন মৃত ব্যক্তির হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে নিক্ষেপ করছেন।
- ভ্যানে লাশের স্তূপ করা ছিল, যা একটি কাপড় ও ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
4. **ঘটনাস্থল চিহ্নিতকরণ:**
- ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে আশুলিয়া থানার সামনের ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে।
- ভিডিওতে দেখা যায় স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেনের পোস্টার, যা নিশ্চিত করে যে ঘটনাটি আশুলিয়া থানার পাশে ঘটেছে।
5. **প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ও পুলিশের পদক্ষেপ:**
- প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশ একটি ড্রোন উড়িয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার অবস্থান শনাক্ত করেছিল।
- আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছোড়ে এবং বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। লাশগুলো থানার সামনে এনে একটি পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
6. **আরাফাতের সহকর্মীর বক্তব্য:**
- ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, আরাফাত ছবি ভাইরাল হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
- তিনি বলেন, “আমরা সেদিন ছাত্র-জনতার দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়িনি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহিল কাফীর নির্দেশনা পালন করেছি।”
7. **আন্দোলনের পটভূমি:**
- বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীরা ৫ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় জমায়েত হন এবং পরে আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হন।
- পুলিশের গুলিতে আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট ১৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে মোট ৭৫ জন নিহত হয়।
- সাড়ে চার শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়, যাদের অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
No comments: