Banner

**"হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাসে সূরা লাহাবের দৃষ্টান্ত: নেটিজেনদের প্রশংসা ও বিতর্কিত প্রতিক্রিয়া"**

 ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস: সূরা লাহাবের দৃষ্টান্ত এবং নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া  

ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। এরপরে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তিন মাসের মধ্যেই দেশ একটি নতুন গতিপথে এগিয়ে যায়। তবে আওয়ামী লীগ এখনও দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ।  


এদিকে, শনিবার (১৬ নভেম্বর) ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়। তিনি স্ট্যাটাসে পবিত্র কোরআনের সূরা লাহাবের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে অপরাধীদের প্রতি কঠোর অবস্থানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। এই স্ট্যাটাসে তিনি বিশেষভাবে আওয়ামী লীগের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানোর বিষয়ে সতর্ক করেন।  


### স্ট্যাটাসে মূল বক্তব্য:  


হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন:  

“পবিত্র কোরআনের সূরা লাহাব আমি যতবার পড়েছি, ততবারই ভাবি, কেন আল্লাহ আবু লাহাবের শাস্তি সম্পর্কে এতো কঠোর ভাষায় ঘোষণা দিলেন? কেন শুধু আবু লাহাব নয়, তার ইন্ধনদাতা স্ত্রীকেও কঠোর শাস্তির কথা বলা হলো? আল্লাহ যেমন ক্ষমাশীল, তেমনই তিনি ন্যায়বিচারক।”  


তিনি আরও যোগ করেন,  

“আওয়ামী লীগ বা তাদের সমর্থকদের মধ্যে কি কোনো অনুশোচনা আছে? ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত হাজার হাজার হত্যাকাণ্ড, গুম, লুটপাট এবং অন্যায়-অবিচার চালানোর পরও কি তারা সামান্যতম অনুশোচনা দেখিয়েছে? বরং তারা সুযোগ পেলেই প্রতিশোধ নিতে চায় এবং তাদের পুরনো চরিত্র প্রকাশ করে।”  


তিনি বলেন,  

“ক্ষমা তাদের প্রাপ্য, যারা অনুতপ্ত। কিন্তু যারা অনুশোচনাবোধহীন, তাদের ক্ষমা করা মানে অন্যদের প্রতি অবিচার এবং ভবিষ্যতে তাদের অপরাধ করার সুযোগ দেওয়া। তাই তাদের কঠোর বিচার জরুরি।”  


### নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া:  


হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। অনেকেই তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।  


**সুলতান মাহমুদ আরিফ** নামে একজন মন্তব্য করেন:  

“আওয়ামী লীগ দানব। এরা চেহারা বদলাতে পারে, চরিত্র নয়। খুনিদের প্রতি দয়া দেখানো মানে তাদের খুনের সমর্থন করা।”  


**মো. সাইফুল ইসলাম** লেখেন:  

“আওয়ামী লীগের একজন সমর্থকও অনুশোচনা দেখাবে না। উল্টো তারা ভিকটিম গেইম খেলছে। এদের মূলোৎপাটন ছাড়া বাংলায় শান্তি আসবে না।”  


### জামায়াতের অবস্থান এবং বিতর্ক:  


অন্যদিকে, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “ফ্যাসিস্টকে সব সময় ফ্যাসিস্ট বলবো কেন?” তাঁর এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে। নেটিজেনদের অনেকেই মনে করছেন, জামায়াত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।  


তবে বেশিরভাগ মতামতই এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের পক্ষে। একজন মন্তব্য করেছেন:  

“যারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের প্রতি কোনো উদারতা নয়। জামায়াত যদি আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করতে চায়, তবে তারা সবচেয়ে বড় ভুল করবে।”  


### উপসংহার:  


হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস শুধু আওয়ামী লীগের অপরাধের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেনি, বরং অপরাধীদের প্রতি কঠোর বিচার দাবি করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছে। নেটিজেনদের মধ্যে এটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং ক্ষমাশীলতার সীমা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। 

No comments:

Banner

Powered by Blogger.