Banner

**যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকারে ট্রাম্পের বিজয় ভাষণ: বিশ্ব রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত**

ফের হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প: বিরতিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পথে 

ছবিঃ সংগৃহীত 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ময়করভাবে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন, যেখানে তিনি যুদ্ধ বন্ধের এক নতুন অধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রথমবারের মতো বিরতির পর আবারও প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন, যা আমেরিকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক বিরল ঘটনা।


নির্বাচনী বিজয় ভাষণে ট্রাম্প বলেন, "আমি যুদ্ধ শুরু করব না, বরং সব যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।" যদিও তিনি নির্দিষ্ট কোনো যুদ্ধের নাম উল্লেখ করেননি, ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধগুলো তার বক্তব্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আশঙ্কা রয়েছে, কারণ ট্রাম্প অতীতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের জয়ের ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।


ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যুদ্ধ এড়াতে সফল ছিলেন এবং দাবি করেন, ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি, বরং কেবল আইএসআইএসকে পরাজিত করেছিল। তার শাসনামলে, ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন এবং সিঙ্গাপুরে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করে কূটনৈতিক অগ্রগতির উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন।


ইসরায়েল-হামাস এবং ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত বন্ধ করা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থাকলেও ট্রাম্প আজকের ভাষণে এসব সংঘাতের নির্দিষ্ট কোনো প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। তবে তিনি অতীতে গাজা যুদ্ধে মধ্যস্থতা করতে পারবেন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংঘাত থামাতে পারেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে ইসরায়েলের বিষয়গুলো নিয়ে তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।


অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং কূটনীতিবিদ মনে করছেন, ট্রাম্পের এমন দৃঢ়তাপূর্ণ ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্বের ভূরাজনৈতিক চিত্রে নতুন পরিবর্তন আসতে পারে।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.