স্বৈরাচার পালালেও ষড়যন্ত্র থামেনি: তারেক রহমানের কর্মশালায় বক্তব্য
![]() |
ছবিঃ সংগৃহীত |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখা এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব বিএনপির নেতাকর্মীদের। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার টেকনগপাড়ায় সাগর-সৈকত কনভেনশন সেন্টারে "রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা" শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানের বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু:
১. বিএনপির প্রতি আস্থা ধরে রাখার আহ্বান
- তারেক রহমান বলেন, জনগণের আস্থা অর্জন একজন রাজনৈতিক কর্মীর সবচেয়ে বড় অর্জন। বিএনপির নেতাকর্মীদের এই আস্থা অর্জন এবং ধরে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে।
- জনগণের সঙ্গে যুক্ত থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন।”
২. নির্বাচনে জনগণের মতামত নিশ্চিত করা
- তিনি বলেন, “আমরা নিশি ভোট বা কারচুপি করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। মানুষের মুক্ত ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
- বিএনপির উদ্দেশ্য হলো জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।
-
ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ
- তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, “স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালালেও তাদের ষড়যন্ত্র থামেনি। বিএনপির জনসমর্থন দেখে অনেকে হিংসা করছে, তারাও বসে নেই।”
- নেতাকর্মীদের সজাগ ও সচেতন থেকে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
-
৩১ দফার গুরুত্ব
- তারেক রহমান বলেন, “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”
- নিশি রাতের নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। রাষ্ট্র মেরামতের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন জরুরি।”
-
চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনের প্রস্তুতি
- তারেক রহমান বলেন, “আগামী নির্বাচন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠিন হবে। আসন্ন চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনে সফল হতে হলে নেতাকর্মীদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।”
-
দলের ভাবমূর্তি রক্ষার আহ্বান
- যারা ব্যক্তিস্বার্থে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
কর্মশালার প্রেক্ষাপট:
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা।
- বক্তারা:
- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।
- ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল।
- বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা।
- কেন্দ্রীয় সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান।
- কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ আরও অনেকে।
তারেক রহমানের বক্তব্যে উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট:
- বিএনপির নেতাকর্মীদের জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
- আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
- জনগণের মুক্ত ভোট নিশ্চিত করতে দলের অবস্থান স্পষ্ট।
- বিএনপির ৩১ দফার দাবি জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।
উপসংহার:
তারেক রহমানের বক্তব্যে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের পরিকল্পনা এবং জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার স্পষ্ট হয়েছে। জনগণের আস্থা অর্জন এবং তা ধরে রাখা বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তারেক রহমানের এই বক্তব্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা প্রতিফলিত হয়েছে।
No comments: