--প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়েই নির্বাচন করতে প্রস্তুত ইসি
ছবিঃ সংগৃহীত |
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত সময় অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময়সূচি
তাহমিদা আহমদ বলেন, কমিশন ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছি। এসব কাজ সফলভাবে শেষ করা সম্ভব হলে, ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। গত ১৫ বছরে নতুন যোগ্য ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এবার এটি নিশ্চিত করতে হবে।”
তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে এবারের নির্বাচন নতুন প্রজন্মের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, “অনেক তরুণ-তরুণী জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এটি তাদের জন্য স্মরণীয় একটি ঘটনা হয়ে থাকবে।”
রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, “যদি সীমিত সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়, তাহলে তা নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আমাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রধান প্রধান সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, “সংস্কার কার্যক্রম সফল করতে আমরা আপনাদের অব্যাহত সমর্থন ও পরামর্শ আশা করি।”
ইসির প্রস্তুতি ও অগ্রাধিকার
ইসি সূত্র জানিয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, প্রবাসী ভোটার অন্তর্ভুক্তি, এবং ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়গুলোতেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার পরিকল্পনা করছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন অঙ্গীকার দেশবাসীর মধ্যে একটি স্বচ্ছ, নির্ভুল, এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা জাগিয়েছে।
No comments: