Banner

*ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ: কলকাতায় অবস্থান ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা*

 ওবায়দুল কাদের: কীভাবে দেশ ছাড়লেন এবং কোথায় আছেন?

ছবিঃ সংগৃহীত


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেশ ত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে। জানা গেছে, তিনি গত ৮ই নভেম্বর কলকাতায় পৌঁছেছেন। তবে ৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে দিন কাটিয়েছেন এবং কী প্রক্রিয়ায় দেশ ছেড়েছেন, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল।

বিশেষ স্থানে অবস্থান

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওবায়দুল কাদের এ সময় এক বিশেষ নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছিলেন। দেশ ছাড়ার আগে তার জন্য একটি কৌশল নির্ধারণ করা হয়। সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থায় সড়কপথে ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান।

কলকাতায় অবস্থান

বর্তমানে ওবায়দুল কাদের কলকাতায় অবস্থান করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দিল্লি নয় বরং কলকাতাতেই তিনি স্থায়ীভাবে থাকবেন। তার অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারের কিছু অংশে লবিং করা হয়েছিল। তবে এই লবিংয়ে শেখ হাসিনার কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল না।

হাসিনা-কাদেরের দূরত্ব

শেখ হাসিনার পতনের আগে ওবায়দুল কাদেরের কিছু মন্তব্য এবং কার্যক্রম নিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ে। আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগই যথেষ্ট বলে কাদেরের একটি বক্তব্য ব্যাপক সমালোচিত হয় এবং তা আন্দোলনকে আরও উসকে দেয়। ফলে শেখ হাসিনার পতনের পর তার ওপর শেখ হাসিনার অসন্তোষ ছিল বলেই জানা যায়।

ছাত্র-জনতার প্রতিক্রিয়া

ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তার অবস্থান নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকের ধারণা, তিনি আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে রক্ষা করার জন্যই দেশ ছেড়েছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি

কলকাতায় তার অবস্থান নিশ্চিত হলেও, ভবিষ্যতে তিনি সেখানে কতদিন থাকবেন বা কী ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। শেখ হাসিনার সাথে তার রাজনৈতিক দূরত্ব এবং জনমনে তার অবস্থান তাকে একটি অনিশ্চিত অবস্থানে ফেলেছে।

দেশত্যাগের এ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দেশবাসী তাকিয়ে আছে, ওবায়দুল কাদেরের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অবস্থানের দিকে।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.