Banner

"বাংলাদেশ নয়, শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রয়োজন ভারতের অভ্যন্তরে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা"

 

ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবিঃ সংগৃহীত


ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোজাসাপ্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে নয়, বরং ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত।”

মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষাপট

গত ২ ডিসেম্বর ভারতের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চান। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার জবাব দেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য

৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন:

  • “বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রয়োজন নেই। বরং ভারতেই তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ একটি শৃঙ্খলাপূর্ণ রাষ্ট্র, যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা সফল। কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ অবস্থা বিবেচনায় সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি আরও বেশি জরুরি।”

জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এটি দেশের শৃঙ্খলা রক্ষা ও যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি মনে করেন, জনগণের মধ্যে একতাবদ্ধ প্রচেষ্টা অপপ্রচারের জবাব দিতে গুরুত্বপূর্ণ।

সীমান্ত পরিস্থিতি ও অপপ্রচার

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সীমান্তে কোনো উত্তেজনা নেই। তবে ভারত থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন:

  • “ভারতের অপপ্রচারের জবাব দিতে আমাদের কূটনৈতিক এবং জনসচেতনতা উভয় দিকেই শক্ত অবস্থান নিতে হবে। এতে আমাদের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।”

উপসংহার

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য ও আন্তর্জাতিক অপপ্রচারের মোকাবিলায় কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রতিফলিত হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করতে পারে।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.