Banner

**নভেম্বরে রেমিট্যান্স ২৬ হাজার কোটি টাকা: টানা পাঁচ মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাহ**

নভেম্বরে রেমিট্যান্সে নতুন মাইলফলক: টানা পাঁচ মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি

 

ছবিঃ সংগৃহীত 

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বৈধপথে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রায় ২২০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ২৬ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, এটি গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বিশ্লেষণ

২০২৪ সালের নভেম্বরে বিভিন্ন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ছিল নিম্নরূপ:

  1. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো: ৮২ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
  2. বিশেষায়িত ব্যাংক: ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
  3. বেসরকারি ব্যাংকগুলো: ১২২ কোটি ৩১ লাখ ডলার।
  4. বিদেশি ব্যাংক: ৬৩ লাখ ডলার।

তবে ৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাংক।

অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের চিত্র (জুলাই-নভেম্বর)

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স:

  • জুলাই: ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
  • আগস্ট: ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
  • সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
  • অক্টোবর: ২৪০ কোটি ডলার।
  • নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার।

এই পাঁচ মাসে ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন ডলারের উপরে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের রেমিট্যান্স চিত্র

গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) প্রবাসীরা মোট ২৩৯২ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ২ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

  • সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যখন রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার।

বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট

নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা কমলেও সামগ্রিক অর্থবছরে ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। প্রবাসী আয়ের এ প্রবাহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে কিছু ব্যাংকে রেমিট্যান্স না আসার বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে, যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।

এ ধরনের ধারাবাহিক রেমিট্যান্স বৃদ্ধি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.